আমার দেখা এক জন মহান নেতা
আমি বলছি আমার দেখা এক জন মহান নেতার কথা, যিনি আর কেউ নন তিনি হচ্ছেন ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) এর উন্নয়নের বরপুত্র রুপকার কর্মি বান্ধব ও গরীব দুঃখী সাধারন মানুষের নেতা, দ্বীপবন্ধু জননেতা আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি । যিনি লালমোহন-তজুমদ্দিন উপজেলার গরীব-দুঃখী ও সাধারণ মানুষের আত্মার আত্মীয়। আমি দেখেছি বাংলার ইতিহাসে এ এলাকার মানুষের নিকট এক বিরল দৃষ্টান্তই স্থাপন করেন তিনি। যার পেশা ও নেশাই জনগণের সেবা করা। আমার সল্প পরিসরে জানার মধ্যে তিনি ২০১০ সালে উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দুইবার এমপি নির্বাচিত হয়ে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এমন কোন জায়গা নেই লালমোহন-তজুমদ্দিনে। দুই উপজেলার সবগুলো ইউনিয়ন পরিষদে রাস্তা, কালবার্ড, পুল, ব্রীজ, স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা, ভিজিএফ, ভিজিডি, কাবিখা, টিআর, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, অসহায় গরিবদের মাঝে ঈদের ভাতা সহ সব কাজেই তার অবদান। তার প্রচেস্টায় মেঘনা নদীর ভাঙ্গন রোধে তজুমদ্দিনে ৫২৫ কোটি টাকা ও লালমোহনে ১৪০ কোটি টাকার কাজ চলমান আছে, লালমোহন সরকারি শাহবাজপুর কলেজে ৪টি বিষয়ের অনার্স কোর্স চালু করেন যাতে এ এলাকার মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা ঘড়ের খেয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। লালমোহনে নুরুন্নবী চৌধুরী মহাবিদ্যালয় ও তজুমদ্দিনে হোসনে আরা চৌধুরী মহিলা কলেজ এবং আমারই বাড়ীর পাশে পেশকার হাট বাজার সংলগ্নে হোসনে আরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে একাডেমিক ভবন নির্মাণ এবং আমার ফরাজগঞ্জবাসীর অনেকদিনের লালিত স্বপ্ন খেলার মাঠ নির্মাণ, তজুমদ্দিন ডিগ্রী কলেজকে সরকারি করন, ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি মাদ্রাসা ও ৮টি একাডেমিক ভবন নির্মাণ, দুই উপজেলায় ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ, ৬টি সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণ দুই উপজেলায় ১৫০ কিঃমিঃ পাকা সড়ক, বড় ব্রীজ ৭টি, ছোট ব্রীজ ও কালবার্ট ২১৩টি, লালমোহনে নতুন বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ প্রদান ২৬,৫৮৬ পরিবার ও তজুমদ্দিনে ১০,৭৯৮ পরিবারের মধ্যে। লালমোহন ও তজুমদ্দিন হাসপাতালকে ৫০ শয্যায় উন্নিত করেন।টিআর প্রকল্প ২,০৬৮টি, কাবিখা প্রকল্প ২৯৮টি, অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসূচি ২৪,২১১ জন সুবিধা ভোগী। দুই উপজেলায় এ্যাম্বুলেন্স অনুদান, আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ, ৫শতাধিক মসজিদ-মন্দিরে অনুদানসহ একাধিক মসজিদ মাদ্রাসা তার ব্যক্তিগত অনুদানে পরিচালনা করেন এই মহান নেতা। তিনি শুধু দেশের জন্য গর্ব নয়, বরং এ অঞ্চলের জনগণের ভবিষ্যৎ মান-উন্নয়নের স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনি লালমোহন কলেজ মাঠে নির্মাণ করেন দৃষ্টিনন্দন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, যাতে এ এলাকার শিক্ষা সংস্কৃতি সামাজিক কার্যক্রম মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকার চেতনার আলোকে পরিচালিত হয়।এছারাও তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজিব ওয়াজেদ জয় এর নামে বাংলাদেশে এই প্রথম একটি বিশাল বাজেটে শাহবাজপুর কলেজ মাঠে অত্যাধুনিক পার্ক এবং ফোয়ারা নির্মাণ করেন যা রাজধানী ঢাকা আর বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের পরেই চমক হিসেবে পর্যটকদের কাছে পরিচিতি পেয়েছে। এই স্থাপনায় সংযুক্ত রয়েছে ডিজিটাল এলইডি স্ক্রীনের সুবিশাল মনিটর যার মাধ্যমে এলাকাবাসী রাষ্ট্রীয় নানান কার্যক্রম এবং বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান মালা সরাসরি উপভোগ করতে পারছে। এছাড়াও তিনি তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে প্রতিবছর ঢাকাস্থ লালমোহন থানা ছাত্র-ছাত্রী কল্যাণ সমিতির শিক্ষাবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লালমোহনের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যায়নরত মেধাবী শিক্ষার্থীদের "আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন মেধাবৃত্তি" প্রদান করে থাকেন। উক্ত সংগঠনটির ভাইস প্রেসিডেন্ট,(২০১৪-২০১৫) থাকাকালে আমি দেখেছি তিনি এই বৃত্তি প্রদান কর্মসূচি ছাড়াও আরো অনেক দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করতেন, যা এখনো ব্যাপক ভাবে করে যাচ্ছেন এই মহান নেতা। আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি লালমোহ-তজমদ্দিনের আলোকবর্তিকা। যিনি উক্ত অঞ্চলের অবহেলিত মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এ দুটি উপজেলার প্রায় প্রত্যেকটি বাড়ীতেই রয়েছে তার অর্থ ও সহযোগিতার ছোঁয়া। সে ছোঁয়ার দ্বারা তিনি আজ প্রত্যন্ত অঞ্চলেও গোলাপের মতো প্রস্ফুটিত। তার ব্যক্তিগত সততা, নিষ্ঠা, অর্থ, শ্রম, শিক্ষা বিস্তারের স্বীয় অবদান নানা জনহিতকর কাজে অংশগ্রহণ, সাধারণ মানুষের সুখে-দুঃখের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ সহ প্রভৃতি মানবিক গুন তাকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ও অপ্রতিরোধ্য ব্যক্তিতে পরিণত করেছে। আজ যারা জননেতা আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপির এসব মহৎ কর্মকে অস্বীকার করতে চায় তাদের নূন্যতম লজ্জাটুকু থাকা উচিৎ ছিল, এবং তারা এই সত্যকে প্রকাশ করতে পারে না যে, একমাত্র আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন লালমোহন এর মতো গোলযোগপূর্ণ এ অঞ্চলকে শান্তির জনপদে রুপান্তরিত করেছেন।। কিন্তু নিরীহ জনগন জননেতা আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপির এ সমস্ত অবদানকে অন্তরে গোলাপের মতো প্রস্ফূটিত করে রেখেছে যা লেখা আছে এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে, লেখা আছে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে। এছাড়াও তার বিভিন্ন অবদান যা উল্লেখ করলে শেষ হবে না কাগজের পাতায়। আমি বলব, প্রিয় নেতা তোমার হাতেই নিরাপদ আমরা ও আমাদের লালমোহন-তজুমদ্দিনের জনপদ। তোমার বিকল্প আমরা কাউকে ভাবতে পারিনা, তুমিই আমাদের উন্নয়নের একমাত্র বাহক, তুমি প্রত্যেকের নিকট যুগ যুগ ধরে একজন নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে আখ্যায়িত হয়ে থাকবে মানুষের মনের মণিকোঠায়।আমি জানতাম জননেত্রী শেখ হাসিনা এই উন্নয়ন ও শান্তির ধারা অব্যাহত রাখতে আবারো তোমাকেই দায়িত্ব দিবেন। অবশেষে লালমোহন-তজুমদ্দিনের জনগনের দোয়া কবুল হল।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
যদি লক্ষ্য থাকে অটুট... বিশ্বাস হৃদয়ে... হবেই হবে দেখা.... দেখা হবে বিজয়ে........
এম.বি.এ (ফিন্যান্স) বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।
সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট
লালমোহন থানা ছাত্র ছাত্রী কল্যাণ সমিতি, ঢাকা।
Comments
Post a Comment